বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন
দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণকাজ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পিরোজপুরের বেকুটিয়া-কুমিরমারা পয়েন্টে কঁচা নদীর ওপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে সেতুর ৭২ ভাগ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে সেতুর সুপার স্ট্রাকচার এবং এপ্রোচ সড়কের নির্মাণকাজ। আগামী বছরের জুনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের আশা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা ও মোংলা সমূদ্র বন্দর যাতায়াতে সময় অনেক কমবে। এতে খুশি বেকুটিয়া ফেরিঘাটে দুর্ভোগের শিকার পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী-সহ স্থানীয় মানুষ। সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। জি টু জি পদ্ধতিতে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনের ‘চায়না রেলওয়ে সেভেনটিন ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড’। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮শ’ ৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২শ’ ৪৪ টাকার যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৪শ’ ২৯ মিটার ভায়াডাক্ট-সহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪শ’ ২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০.২৫ মিটার (ডাবল লেন)। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯শ’ ৯৮ মিটার। ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের উপর দাড়িয়ে আছে বক্স গার্ডার টাইপ এই সেতুটি। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে ২টি। গত ৩ বছরে সেতুর ৭২ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকালে কঁচা নদীর ওপর বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের সার্বিক অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। এ সময় বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুম মাহমুদ সুমনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এবং কাজের গুণগত মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান প্রকৌশলী। এ সময় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাকালেও দিনরাত দুই শিফটে কাজ চলছে। আগামী বছর জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। সওজ বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, বরিশাল-খুলনা সরাসারি সড়ক যোগাযোগে সব শেষ প্রতিবন্ধকতা বেকুটিয়ার কঁচা নদী। সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সেতু চালু হলে খুলনা, মোংলা ও বাগেরহাট অঞ্চলের সাথে পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনে গতি আসবে বলে আশা করেন তিনি। অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ও বরিশাল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম মাহমুদ সুমন বলেন, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা দিনরাত সেতুটি নির্মাণে কাজ করছেন। আগামী বছরের জুনে সেতুটি উদ্বোধন হলে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে সড়ক পথে ট্রাভেল টাইম (যাতায়াত সময়) অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা কমে যাবে এবং সহজ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিকে বেকুটিয়া সেতু নির্মাণে খুশি এলাকাবাসী-সহ পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। সেতুটি চালু হলে বরিশাল-খুলনা রুটে ফেরিবিহীন সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে বলে তারা জানান। ফেরিঘাটে দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছে কঁচা নদীর দুই তীরে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। বেকুটিয়া ফেরীর যাত্রী সাহেব আলী জানান, বিএনপি সরকারের সময় বারবার এই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি যেটা পারেনি, সেটা সম্ভব করে দেখাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। সরকার প্রধানের সুনজরের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এখন জেঁগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনিসহ অন্যান্য যাত্রীরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com